৪ . পেঁপে
পাকা পেঁপে অত্যন্ত উপাদেয়। হজমে সহায়ক ও প্রচুর ভিটামিন ‘এ’-এর খুব ভালো উৎস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৮৮ থেকে ৯১ শতাংশ জলীয় অংশ আছে পেঁপেতে। থাই লাল পেঁপে ও দেশি হলদে পেঁপে দুইই পাওয়া যাচ্ছে এখন সব জায়গায়। তাই গরমের সময়ে পেঁপে থাকুক আপনার খাবারের তালিকায়।
৫ . আনারস
দেশে এখন ঐতিহ্যবাহী জলডুগি ছাড়াও একেবারে ছোট সাইজের রসে ভরপুর ‘চেরি আনারস’ পাওয়া যায় বেশ সুলভেই। ভিটামিন ‘সি’-এর খনি এই আনারস জাতভেদে টক-মিষ্টি কিছুটা কমবেশি হলেও এতে জলীয় অংশ কিন্তু একেবারে ৮৭ শতাংশের মতো। পেঁপের মতো আনারসও হজমে সহায়ক, যা এই গরম আবহাওয়ায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।
৬ . বাঙ্গি/ফুটি
এই গরমে রসাল ফলের মধ্যে কিন্তু বাঙ্গির কোনোই তুলনা নেই। বিভিন্ন আকার-আকৃতির এই মাস্ক মেলন ফল এ দেশে বাঙ্গি, চিনাল, ফুটি—এমন অনেক নামে পরিচিত। এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯০ শতাংশ আর দ্রবণীয় ফ্রুক্টোজ বেশ কম হওয়ায় বাঙ্গি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
৭ . পেয়ারা
দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে। ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়।
এছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম া তাই, এই গরমে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খান া
৭. লেবুর শরবত
অন্যান্য ফলের তুলানায় লেবুতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেক বেশি। আর লেবু ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। লেবু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসের উৎস এবং ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে । তাই, এই গরমে প্রতিদিন একটি করে লেবু থাকুক আপনার খাবারের তালিকায়।
৮. চিয়া সিডের শরবত
চিয়া সিডে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ রয়েছে।
এতে আরও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ া তাই , গরমের সময়ে প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণে (এক চামচ) চিয়া সিডের শরবত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৯ . চিড়ার শরবত / দই - চিড়া
চিড়া সহজে হজম হয়। এটি সহজপাচ্য। তাই , এই গরমে প্রতিদিন চিড়ার শরবত /দই - চিড়া খেলে এটি দীর্ঘ সময় আপনাকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখবে। এ ছাড়া এটি আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেবে।
১০. টক দই : গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত পাতে রাখুন টক দই। এটি এক ধরনের প্রোবায়োটিক যা এই গরমে আপনাকে সতেজ রাখতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজ করবে । তাছাড়া এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমের সময়ে প্রতিদিন এক বাটি টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।
0 Comments