Ads

ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই সহোদরের মৃত্যু : আসলে সেদিন কি ঘটেছিল ?


                            

ছবি : আজকের পত্রিকা


২১ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৫ ও ৪৩ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে স্কুলের কক্ষে মেঝেতে ফেলে পিটানো হচ্ছে। এ সময় ওই কক্ষে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ,

শুরুতে ইউপি চেয়ারম্যান মারধর করেন। পরে মারধর করেন ওই কক্ষে থাকা বাকি ছয় থেকে আটজন। তখন ওই কক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। গ্রামের লোকজন ওই কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে ভেতর থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনছিলেন।

পরে রটানো হয় , মন্দিরের কালী প্রতিমার পরনে থাকা শাড়িতে কে বা কারা আগুন দেয়। তবে আগুন কে লাগিয়েছে, সেটা কেউ দেখেনি। কিন্তু দোষ গিয়ে পড়ে পাশের স্কুলে থাকা নির্মাণশ্রমিকদের ওপর


নিহত দুজন সহোদর এবং তাদের বয়স বিশ বছরেরও কম বলে জানিয়েছেন তাদের চাচাতো ভাই ইমরান খান।দুই ভাইয়ের একজন আসাদুল (১৭) মারা যায়। রাত আড়াইটার দিকে মারা যান অপর ভাই আশরাফুল (২০)। বাকি দুই শ্রমিক নান্নু মণ্ডল (২১) ও সিরাজ শেখ (৩৫) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাদের চাচাতো ভাই ইমরান খান আরও বলেন, এটি কোন গণপিটুনির ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পিত খুন। একটি রুমে কয়েকজনকে বেধে লাঠি, ইট ও রড দিয়ে পেটানো হয়েছে া তিনি ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছেন।

এদিকে মধুখালীর পুলিশ জানিয়েছে দুজনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন যাদের আটক করা হয়েছে তারা সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের। 

তবে বর্তমানে এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার। এখনও তদন্ত চলছে া

Post a Comment

0 Comments