মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা বা কংগ্রেস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার জাতীয় আইন প্রণয়ন সংস্থাকে বর্ণনা করতে "সংসদ" শব্দটি ব্যবহার করে না। পরিবর্তে, এটি কংগ্রেস নামে পরিচিত । এই আইনসভা বা কংগ্রেস দেশটির আইন প্রণয়ন ও শাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। কংগ্রেসের কাঠামো দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, যা সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ে গঠিত। এই দ্বি-কক্ষ পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করে।
১. সিনেট ( The Senate) :
এটি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ। সিনেটের সদস্য সংখ্যা ১০০, এবং প্রত্যেকটি রাজ্য থেকে দুই জন করে সিনেটর নির্বাচিত হন। এদের কার্যকাল ৬ বছর, এবং প্রতি দুই বছর পর পর এক-তৃতীয়াংশ সিনেটর পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হন।
সিনেট বিশেষ কিছু ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন করে, যেমন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনুমোদন এবং চুক্তিসমূহের (যেমন আন্তর্জাতিক চুক্তি) অনুমোদন প্রদান। এছাড়া, বিচার প্রক্রিয়ায় সিনেট অভিশংসনের ক্ষেত্রে বিচারকের ভূমিকা পালন করে।
২. প্রতিনিধি পরিষদ (The House of Representatives) :
এটি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪৩৫, যা প্রতিটি রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে বণ্টিত হয়। প্রত্যেক সদস্যের কার্যকাল দুই বছর। দুই বছর পর সদস্যের পুনরায় নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় । এই পরিষদে রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়, যা জনসংখ্যা অনুযায়ী ছোট-বড় হতে পারে।
প্রতিনিধি পরিষদে প্রণীত আইন বা বিলের মাধ্যমে নতুন আইন তৈরি হয় এবং বাজেট বিলের প্রস্তাবও প্রথম এই পরিষদ থেকেই উত্থাপন করা হয়।
এই দুটি চেম্বার/কক্ষ একসাথে কংগ্রেস তৈরি করে, যা অন্যান্য দেশের সংসদের ধারণার মতো।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট কংগ্রেসের গুরুত্ব:
দ্বিকক্ষ পদ্ধতির মাধ্যমে কংগ্রেসে ছোট এবং বড় রাজ্যের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়। এতে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া আরও বিস্তৃত ও সুষম হয়। কংগ্রেসের এ কাঠামো মার্কিন গণতন্ত্রের মূল নীতির প্রতিফলন ঘটায়, যেখানে বিভিন্ন অঞ্চলের মতামত ও প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়।
*আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে হতে চলেছেন এবং কেন?
বি. দ্র. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চার বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । এই বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর ০৫, ২০২৪ ।
0 Comments